blog post

বায়ূ দূষণ রোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে লিফলেট ও মাস্ক বিতরন

Started 01 May, 2024 Time 11:00 AM

বিশ্বব্যাপী প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৯ জন শ্বাসের মাধ্যমে দূষিত বায়ু গ্রহণ করছে। বায়ু দূষণের কারণে সৃষ্ট বিভিন্ন রোগে বছরে ৭০ লাখ মানুষ মারা যায় বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। যাদের বেশিরভাগই নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশের। 

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গত কয়েক বছরের সমীক্ষা অনুযায়ী বায়ুদূষণের ফলে কমছে মানুষের আয়ু, গত বছরে শিকাগো ইউনিভার্সিটির এনার্জি পলিসি ইন্সটিটিউট প্রকাশিত সর্বশেষ এয়ার কোয়ালিটি লাইফ ইনডেক্সে বলা হয়েছে যে, বায়ু দূষণের কারণে সারা বাংলাদেশে মানুষের গড় আয়ু কমেছে প্রায় পাঁচ বছর চার মাস। ঢাকায় কমেছে প্রায় সাত বছর সাত মাস এবং হাঁপানি, ক্যানসার, হৃদরোগ, ফুসফুসের অসুখসহ অনেক রোগের কারণ বায়ুদূষণ। এ রোগ বৃদ্ধির জন্যও বায়ুদূষণ দায়ী। বায়ুদূষণের দৈনিক অর্থনৈতিক ক্ষতি প্রায় ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বা মোট বিশ্ব উৎপাদনের ৩ থেকে ৪ শতাংশ।

বায়ুদূষণের দিক থেকে বিশ্বের শীর্ষ ১০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের পরে রয়েছে চাদ, পাকিস্তান, তাজিকিস্তান, ভারত, ওমান, কিরগিজস্তান, বাহরাইন, ইরাক ও নেপালের নাম। প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাজধানী শহরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে দূষিত বায়ুর শহর নয়াদিল্লি (ভারত)। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা।

বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউ এয়ারের সূচকে ঢাকা একাধিকবার ৩০০’র বেশি একিউআই স্কোর নিয়ে সর্বোচ্চ দূষিতের তালিকায় নাম লিখিয়েছে।

অথচ, কোনো স্থানের একিউআই স্কোর যদি ৩০১ থেকে ৪০০ এর মধ্যে থাকে, তবে তা ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হওয়ার কথা। এমনকি, এই একিউআই স্কোর যদি পর পর তিন ঘণ্টা ৩০০’র বেশি থাকে, তবে সেখান স্বাস্থ্যগত জরুরী অবস্থাও ঘোষণা করা যেতে পারে।

ক্যাপসের ৮১ সদস্যের একটি গবেষক দলের তত্ত্বাবধানে তিন হাজারের বেশি স্থানের বায়ুর অতিক্ষুদ্র বস্তুকণার মান পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, বাংলাদেশে ৬৪টি জেলার মধ্যে ৫৪টি জেলারই বায়ুর মান আদর্শ মাত্রার চেয়ে খারাপ অবস্থায় আছে। আদর্শ মাত্রার মধ্যে আছে মাত্র ১০টি জেলার বায়ুর মান।

সর্বোচ্চ বায়ুদূষণ পরিমাপ করা হয়েছে গাজীপুরে, এরপরেই রয়েছে ঢাকা এবং নারায়ণগঞ্জ, যেখানে বায়ুতে অতি ক্ষুদ্রকণার মাত্রা বাংলাদেশের আদর্শ মান প্রতি ঘনমিটারে ৬৫ মাইক্রোগ্রামের চাইতে চার থেকে পাঁচগুণ বেশি।

ঢাকার বায়ুদূষণ থেকে বাঁচতে আইকিউএয়ার যে পরামর্শ দিয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম পরামর্শ হচ্ছে বাইরে বের হলে মানুষকে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে।

বায়ু দূষণের কারন-

ময়লা আবর্জনা এবং পচনশীল দ্রব্য যেখানে সেখানে ফেলে রাখা

গৃহস্থালির দহন যন্ত্র।

মোটর যানের কালো ধোয়া।

শিল্প কারখানার কালো ধোয়া এবং রাসায়নিক বর্জ্য।

দূষণকারী রাসায়ানিক পদার্থের কণা কার্বন মনোক্সাইড, ওজোন, নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড এবং সালফার ডাই অক্সাইড।

সনাতন পদ্ধতির ইটভাটার ছাই এবং কালো ধোয়া

নির্মান সামগ্রী যএতএ ফেলে রাখা

খনিজ জালানির অপরিকল্পিত ব্যাবহার

 

বায়ু দূষণ রোধে করনীয়-

পরিকল্পিতভাবে কারখানাগুলোর ধোঁয়া কমিয়ে আনা।

কারখানাগুলো শহরের বাইরে নিয়ে যাওয়া।

প্রচুর বনায়ন করা,কারণ গাছ বায়ুদূষণ প্রতিরোধে জোরালো ভূমিকা রাখে।

বাড়িঘর ও আবাসিক এলাকাগুলো পরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলা,যেখানে উদ্যান ও পুকুর থাকবে।

নির্মাণ কাজগুলো নিয়ন্ত্রিতভাবে করা,যাতে সেটি দূষণের কারণ না হয়।

এয়ার কন্ডিশনার কম ব্যবহার করা।

সনাতন পদ্ধতির ইটভাটাগুলোকে জ্বালানি সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব ইটভাটায় রূপান্তর করা গেলে ৭০-৮০% দূষণ কমানো সম্ভব।

ফিটনেস বিহীন মটরযান নিয়ন্ত্রণ।