সর্বশেষ খবর:
পাথরঘাটা মুরগি বিক্রি বন্ধ জামালপুরে ট্রেনে কাটা পরে গৃহবধূর মৃত্যু বলিউড অভিনেতা বরুণ ধাওয়ানের জন্মদিন আজ স্বপ্নের সোনালী ফসলে সেঁজেছে মাঠ, হাসি কৃষকের মুখে সুন্দরগঞ্জে কালবৈশাখী ঝড়ে বোরধানের ক্ষতি আধা মণ পেঁয়াজে একটি তরমুজ নড়াইলে বিএনপির দু’গ্রুপে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচী কুখ্যাত ডাকাত শাহীন ও জুয়েল গ্রেফতার বাবার কোলে শিশু হত্যার মূল আসামি সহ গ্রেফতার ৫ রাষ্ট্রের প্রতিটি অঙ্গ আজ আওয়ামী যন্ত্রে পরিণত হয়েছে : ডা.শাহাদাত হোসেন কোম্পানীগঞ্জ মুছাপুরে ভোগ দখলে আশ্রয় কেন্দ্র বাবা আ.লীগ নেতা, ছেলে ছাত্রদল সভাপতি প‌হেলা বৈশা‌খে ইলিশ‌কে ‘না’ ব‌লি ঈদের খুশি ছড়িয়ে দিয়ে মহসিনা মায়ার ব্যাতিক্রমী উদ্যোগ নড়াইলে প্রাইম ব্যাংক জাতীয় স্কুল ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধন ১০ লাখ মুসল্লি নিয়ে এশিয়া মহাদেশের সর্ববৃহৎ ঈদের জামাত দিনাজপুরে বাংলাদেশের সম্পদ মিলছে ভারতের সরকারি হাসপাতালে মনুষত্বের অবক্ষয় কবিতা: বছর শেষে বীরের কথা

গুরুদাসপুরে লিচু বাগান নিয়ে দুশ্চিন্তায় চাষিরা

উপজেলা প্রতিনিধি, গুরুদাসপুর

২৫ এপ্রিল, ২০২২, ৩ বছর আগে, : 0

গুরুদাসপুরে লিচু বাগান নিয়ে দুশ্চিন্তায় চাষিরা
নাটোরের লিচু গ্রাম খ্যাত গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুর এলাকা।দেশ খ্যাত হলেও এবার হাসি নেই লিচু চাষিদের মুখে।চোখ ধাধানো সারি সারি লিচু বাগান যেন কৃষকের সারি সারি স্বপ্ন। কিন্তু খরতাপ ও অনাবৃষ্টির কারণে কৃষকের স্বপ্ন ক্রমে বিবর্ণ হচ্ছে।
এ বছর গ্রীষ্মের শুরু থেকে অসহনীয় তাপমাত্রায় লিচুর বাগান নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন চাষিরা।  সরেজমিনে লিচু বাগানগুলো ঘুরে দেখা যায়,নাজিরপুর ও ধারাবারিষা ইউনিয়নের বেড়গঙ্গারামপুর, মামুদপুর, মোল্লাবাজার, হামলাইকোল, চলনালী, শিধুলী, নাড়িবাড়িসহ বিভিন্ন গ্রামের বাগানগুলোতে গাছে গাছে ঝুলছে লিচু।
তবে এখনও পরিপক্ব নয় রং সবুজ,মাসখানেক পর হলুদ ও লাল হতে শুরু করবে। গুটি রক্ষায় চাষিরা ব্যস্ত সময় পার করছেন পরিচর্যার কাজে।  লিচু চাষি আব্দুর রহিম বলেন, এ বছর ৮০ শতাংশ জমিতে লিচু চাষ করেছি। বৃষ্টির অভাবে লিচু বেড়ে উঠতে পারছে না এবং এর আকারও স্বাভাবিকের চেয়ে ছোট।
যা দেখে আমি হতাশ! বৃষ্টি হলে কিছুটা হতাশা মুক্ত হতাম।তা না হলে আমাদের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছি।  আরেক চাষি আবুল কাশেম বলেন, করোনার কারণে গত বছর লাভের মুখ দেখিনি। এ বছর আবহাওয়ার জন্য লিচু বাগান কিনতে কোনো ব্যাপারী আগ্রহ দেখাচ্ছে না। ব্যাপারীরা আসলেও চলছে দর কশাকশি।

আগের বছরগুলোতে এপ্রিল মাসের মধ্যেই আমাদের বাগানের লিচু কিনে ফেলতো ব্যাপারিরা। উপজেলা অফিস থেকে জানা যায়, উপজেলায় ৪১০ হেক্টর জমিতে ৫৭০টি ছোট বড় বাগানে লিচু চাষ হচ্ছে । প্রতিটি বাগানে লিচুর ভালো মুকুল আসলেও খরতাপ ও অনাবৃষ্টির ফলে প্রচুর মুকুল ঝরে পড়েছে।
তাই লিচুর গুটি কম দেখা যাচ্ছে। এবার ফলন কম হতে পারে।  কৃষি কর্মকর্তা হারুনর রশিদ বলেন,অব্যাহত খরার কারণে লিচু নিয়ে কৃষকেরা শঙ্কার মধ্যে রয়েছে। তবে দু-একদিনের মধ্যে বৃষ্টি হলে পরস্থিতির উন্নতি হবে। চাষিদের বাগানে সেচ দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
আশা করছি, বৃষ্টি হলেই সব শঙ্কা দূর হবে। এবার উপজেলায় ১৬০০ টন লিচু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। চোখ ধাধানো সারি সারি লিচু বাগান যেন কৃষকের সারি সারি স্বপ্ন। কিন্তু করোনার কারণে কৃষকের স্বপ্ন ক্রমে বিবর্ণ হচ্ছে।
পত্রিকা একাত্তর / মোঃ সোহাগ আরেফিন